আপনারা অনেকেই আজকে ইতালি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা তা জানেন না। আবার অনেকেই তা জানার জন্য বিভিন্ন ওয়েবসাইটে এ সর্ম্পকিত তথ্য খুঁজে থাকেন। আজকে তাই আজ ইতালি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা এ সর্ম্পকিত বিষয়গুলো আপনারা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানতে পারবেন। আপনারা এই বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। নিচে এ সর্ম্পকে বিস্তারিত ধারনা আলোচনা করা করা হলো।
ইতালি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
আর্টিকেলের ভিতরে যা থাকছে
ইতালি পশ্চিম ইউরোপের একীভুত প্রজাতান্ত্রিক সংসদীয় রাষ্ট্র। এটি ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভুক্ত একটি দেশ। শেনঝেন চুক্তি স্বাক্ষরকারী বিধায় শেনঝেন ভিসা নিয়ে এ দেশে প্রবেশ করা যায়। এদেশের রাজধানীর নাম রোম। ১.৮ বিলিয়ন জিডিপি নিয়ে ইতালি ইউরোপের চতুর্থ বৃহত্তম ও বিশ্বের অষ্টম বৃহত্তম অর্থনীতি। সারা বিশ্ব থেকে অনেক মানুষ ইতালিতে কাজ করতে আসে। কারণ ইতালিতে কাজের পাশাপাশি উন্নত জীবনযাপনের সুযোগ রয়েছে।
বাংলাদেশের অনেক মানুষ ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় ইতালিতে কাজ করছেন এবং উন্নত জীবনযাপন করছেন । ইতালিতে অনেক কর্মীর চাহিদা রয়েছে যেসব কর্মী তারা এশিয়া এবং অন্যান্য মহাদেশ গুলো থেকে নিয়ে থাকে। বাংলাদেশ থেকে অনেক মানুষ প্রতিবছর ইতালিতে কাজের উদ্দেশ্যে যাচ্ছে। আপনারা অনেকেই ইতালি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সর্ম্পকে সঠিকভাবে জানেন না। ইতালি যাওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের ভিসা পাওয়া যায়। তাই ভিসাভেদে এর দাম ভিন্ন হয়ে থাকে।
ইতালি ভিসাগুলো হচ্ছে ইতালি স্পন্সর ভিসা, ইতালি স্টুডেন্ট ভিসা, ইতালি কৃষি ভিসা, ইতালি মেডিকেল ভিসা, ইতালি টুরিস্ট ভিসা আরো ইত্যাদি । সাধারন্ত এই ভিসাগুলোর খরচ ভিন্ন হয়ে থাকে। বর্তমান ইতালিয়ান সরকার ওয়ার্ক পারমিট ভিসা চালু করায় অনেকে কাজের জন্য ইতালি যাচ্ছে। আপনারা যারা ইতালি ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যেতে চান তাদের খরচ পড়বে প্রায় ১.৫ থেকে ২ লক্ষ টাকা। তবে আপনারা যদি দালাল বা কোন এজেন্টের মাধ্যমে যান তাহলে সেই ক্ষেত্রে আপনাদের খরচ আরও বেশি পড়বে। ইতালিতে এক ইউরো সমান প্রায় বাংলাদেশে ১০০ টাকা। ইতালিতে একজন মানুষ এক মাসে সর্বনিম্ন ৮০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা আয় করতে পারে।
ইতালি ওয়ার্ক ভিসার জন্য যা যা প্রয়োজন
নিচে ইতালি ওয়ার্ক ভিসার জন্য যা যা প্রয়োজন তা দেওয়া হলো-
1. ডিজিটাল পাসপোর্ট।
2. লিগেল আইডেন্টিটি ডকুমেন্টস।
3. জন্ম নিবন্ধন সনদ এবং বাংলাদেশী ভোটার আইডি কার্ড।
4. ভিসা অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম।
5. কোভিড- ১৯ এর ভ্যাকসিন এর ডোসের ফর্ম।
6. সরকার থেকে স্বীকৃত দেওয়া মেডিকেল ফিটনেস এর সনদপত্র।
7. সকল কাগজপত্র সমূহ সত্যায়িত হওয়া বাঞ্ছনীয়।
8. পুলিশ কিয়ারেন্স সার্টিফিকেট।
9. স্পন্সরের আকামার কপি।
10. পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি।
ইতালি যেতে কত টাকা লাগে
ইতালি যেতে যেহুতু বিভিন্ন ধরনের ভিসা পাওয়া যায় তাই তাই ভিসাভেদে এর খরচ ও ভিন্ন হয়ে থাকে। তাই আপনি যদি ইতালি যেতে চান তাহলে আপনার ভিসা খরচ হবে Business, Travel ভিসার আবেদন খরচ ১২০৭০ টাকা, Family ভিসা খরচ ১৫৬৭০ টাকা, এবং Worker ভিসার ক্ষেত্রে ভিসা খরচ ৯০৭০ টাকা হয়ে থাকে। তবে ভিসার যাবতীয় খরচসহ ইতালি যেতে মোট ৩.৫ – ৪ লক্ষ টাকা এবং Long Term ভিসার ক্ষেত্রে ৮-১০ লক্ষ টাকা লাগে। তবে সাধারণত ইতালি যেতে বাংলাদেশিরা বিভিন্ন এজেন্টের শরণাপন্ন হয়। এজেন্টরা বিভিন্ন যুক্তিতর্ক দিয়ে ইতালি ভিসার দাম ১৪-১৬ লক্ষ টাকা পর্যন্ত নিয়ে থাকে।
বাংলাদেশ থেকে ইতালিতে ওয়ার্ক ভিসার জন্য যেভাবে আবেদন
নিচে বাংলাদেশ থেকে ইতালিতে ওয়ার্ক ভিসার জন্য যেভাবে আবেদন করবেন তা দেওয়া হলো-
1. ইতালিতে প্রবেশ করার জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে একটা বৈধ পাসপোর্ট করতে হবে। কিন্তু অবশ্যই পাসপোর্টটি ডিজিটাল হতে হবে এবং হাতে লেখা পাসপোর্ট হলে চলবে না।
2. আবেদনকারীর সাথে যোগাযোগ করার জন্য ভিসায় আবেদনকারীর ঠিকানা সঠিকভাবে দিতে হবে।
3. আবেদনকারী ব্যক্তির আর্থিক অবস্থার প্রমাণসহ প্রদান করতে হবে।
4. পেশাগত প্রমাণ দেখানোর পাশাপাশি সকল ডকুমেন্ট হতে পারে স্ক্যান কপি নিজের কাছে স্যাম্পল হিসেবে রেখে দিতে হবে।
5. আবেদনকারী ব্যক্তির দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি লাগবে। অবশ্যই ছবি দুইটি হতে হবে আবেদনকারী ব্যক্তির কিছু দিনের আগে। অর্থাৎ তিন থেকে চার মাস আগের দুটি পাসপোর্ট সাইজের ছবি আবেদনকারী ব্যক্তির থাকতে হবে।
আরও পড়ুনঃ ১ কেজি স্বর্ণের দাম কত 2023
শেষ কথা
আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনারা আজ ইতালি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা জেনেছেন। এছাড়াও যদি এ সর্ম্পকে কোনোরকম প্রশ্ন আপনাদের মনে থেকে যায় তাহলে আপনারা অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে তা আমাদের জানাবেন। আমরা চেষ্টা করব এ সর্ম্পকে আপনাদের আরও তথ্য জানাতে।